ফটো এডিটিং কি?
যুগের পরিবর্তন এর সাথে সাথে মানুষের চিন্তা ধারার পরিবর্তন হয়েছে। আদিম বা মধ্য যুগের মানুষ ছবি হাতে আঁকে বাধাই করে রাখতো। স্মার্ট টেকনোলজির সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়েছে যাচ্ছে ছবি তোলার ধরন। যেখানে স্মার্ট ফোন, ডি এস এল আর ক্যামেরার সাহায্যে অল্প সময়ের মধ্যেই সুন্দর ছবি তোলা যায়।এই ছবি কে প্রাণবন্ত ও আরো সুন্দর করে তোলার জন্যই এডিটিং এর ব্যবহার করা হয়। বর্তমান বিশ্বের সকল দেশেই ফোট এডিটিং এর চাহিদা রয়েছে। যা থেকে খুব সহজে ইনকাম করা যায়।
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ফটো এডিট
আজ কাল ফেসবুক (Facebook) টুইটার (Twitter) ইনস্টাগ্রাম (Instagram) অথবা সকল সোশ্যাল মিডিয়া (social media) নিজের ছবি বা কোম্পানির (Company) ছবি দেয়ার আগে আমরা সেই ছবি সুন্দর করে এডিটি করে নেই।এর উদ্দেশ্যে নিজেদের ছবি আরো বেশি সুন্দর এবং আকর্ষণীয় করে তোলা।কিছু মানুষ প্রফেশনাল পেশা হিসেবে নিয়ে থাকে। যারা পেশা হিসেবে গ্রহন করছে তারা অনলাইন এবং অফলাইন থেকে দুই ভাবেই টাকা উপার্জন করতে পারে।
প্রথমে বলি অফলাইন সম্পর্কে , জন্মদিন, বিয়ের অনুষ্ঠান, বিভিন্ন পার্টি ইত্যাদি থেকে টাকা উপার্জন করা যায়
এবারে আসি অনলাইন সম্পর্কে, সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম, ব্লগার, ইউটিউবের ক্ষেত্রে। এছাড়া অনলাইন ফটো কলেজ তৈরি করা ক্ষেত্রে ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারবেন।
এডিটিং এর জন্য কিছু ওয়েবসাইট
মোবাইল ফোন দিয়ে যদি এডিটিং করতে চান, তাহলে এই অ্যাপ গুলা ব্যবহার করতে পারেন AirBrush,Snapseed, PicsArt, Adobe, Color Maker, Pic shot ইত্যাদি। এর বাইরেও অনলাইনে কিছু ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে ফটো এডিটিং করা হয় যেগুলো হল Canva, Fiverr, Upwork এবং Peopleperhour ইত্যাদি।
ফটো এডিটিং আয়ের উৎস
০১ ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আয়,
০২ সোস্যাল মিডিয়া একাউন্ট এর মাধমে আয়,
০৩ গ্রাফিকস ডিজাইন এর মাধ্যমে আয়,
০৪ ইউটিউব এর মাধ্যমে আয়।
ছবি সম্পাদন করে অর্থ উপার্জনের এই কয়টি মাধ্যম ছড়া আরো অনেক মাধ্যম রয়েছে।
ছবি এডিট এর কিছু অসুবিধা
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট হয়, ছবি এডিট এ চেহারা বিকৃত হয় এছাড়া ও নানা রকমের সমস্যা দেখা যায়।
পরিশেষে বলা যায় ছবি এডিট করতে হলে কিছু জটিলতা আসবে এই জটিলতা দূর করে এইটাকে পেশা হিসেবে গ্রহন করলে করতে পারেন। কারণ ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ফটো এডিটিং ভবিষ্য সম্ভাবনা অনেক উজ্জ্বল।
ধন্যবাদ আবার কথা হবে অন্য কোনো টপিক নিয়ে সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন।