Data entry in digital marketing
Data Entry

“ডাটা এন্ট্রি” শব্দটার সাথে অনেকেই হয়তো পরিচিত আবার অনেকের কাছেই নামটা নতুন মনে হতে পারে। যারা পরিচিত তারা হয়ত অনেকেই এটাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন বা নেয়ার কথা ভাবছেন। অফিস-আদালত প্রায় সব জায়গাতেই এর ব্যবহার আছে। তবে ঘরে বসে অর্থ উপার্জনেই এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে বেশ কয়েক বছর ধরেই। আর যারা জানেননা এটা কি তাদেরও চিন্তার কিছু নেই। আজকের পোস্টে আমি এই বিষয়েই বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করবো।

আজকের আলোচনার মধ্য যা যা থাকছে…

  • Data Entry কি?
  • কিভাবে করে ?
  • বর্তমান অবস্থান
  • ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
  • কিভাবে ও কোথায় শিখবো ও
  • পেশা হিসেবে বেছে নেয়া যায় কিনা
  •  

ডাটা এন্ট্রি কি ? (What is Data Entry?)

শব্দটির আভিধানিক অর্থ হল “মুদ্রাক্ষরিক”। অর্থাৎ কোন হার্ড কপি থেকে প্রয়োজনীয় ডাটা সফট কপি তে সংরক্ষন করে রাখা। আর এই কাজটি যিনি করেন তাকে বলা হয় “টাইপিস্ট”। কর্মক্ষেত্রে অনেকেই এই কাজটার সাথে সুপরিচিত। বড় বড় অফিস-আদালত, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ও আরও অনেকের ইনফর্মেশন বা তথ্য এর মাধ্যমে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস এ সংরক্ষন করে রাখা হয়। আর এগুলা রাখার জন্য ব্যবহার করা হয় উন্নত মানের সফটওয়্যার ও ডাটাবেস। আর এভাবে অনেক অনেক তথ্য খুব অল্প জায়গার মধ্যে ডাটা এন্ট্রির মাধ্যমে সেভ করে রাখা হয়। আর এগুলা খুব সহজে অনলাইনে আদান-প্রদান করাও সম্ভব।

উদাহারণস্বরূপ, একটি স্কুল এর ডাটাবেস নিয়ে ভাবা যেতে পারে…

স্কুল এ কতজন শিক্ষার্থী আছে, তাদের নাম ,ঠিকানা , পিতা-মাতার নাম, পেশা এগুলা সব তথ্যই একজন অপারেটর এর মাধ্যমে নিয়মিত অনলাইনে আপলোড করা হয়ে থাকে। এভাবে অন্যান্য ০rganizations ও তাদের তথ্য সংগ্রহ করে রাখে।

ডাটা-এন্ট্রির data বলতে মূলত অনেক প্রকার হতে পারে। এটা কোন টেক্সট, নাম্বার, কারও বাক্তিগত ইনফরমেশম, কোন ছবি, কিংবা ভিডিও বা অডিও ফাইল ও হতে পারে।

 

কিভাবে করে?

ডাটা এন্ট্রির কাজ আসলে অনলাইন/অফলাইন অনেক ভাবেই করা যায়। মূলত এর জন্য Microsoft Office এর সফটওয়্যার গুলোই ইউজ করা হয় খুব বেশী। এছাড়া বিভিন্ন ওয়েবসাইটে তাদের Design করা Format এও কাজ করতে হতে পারে। তবে যারা নতুন তদের অবশ্যই কম্পিউটার ও ইন্টারনেট পরিচালনায় দক্ষ হতে হবে।

এর গুরত্ব যেমন বড় বড় অফিস বা প্রতিষ্ঠানে আছে তেমনি এখন ঘরে বসে কাজ করার জন্যও এর জনপ্রিয়তা প্রচুর। অনেকেই ঘরে বসে শুধুমাত্র Internet ব্যবহার করে দেশ ও বিদেশ এর বিভিন্ন Company এর হয়ে কাজ করে অর্থ আয় করছে।

এর কিছু কাজের উদাহরণ যেমন…

  • বই বা খাতা থেকে Exel এ list আকারে data সেভ করা।
  • পিডিএফ/ইমেজ থেকে word এ কনভার্ট করা।
  • বিভিন্ন Online Form পূরণ করা।
  • Copy/Paste জাতীয় কাজ করা।
  • Audio/Voice থেকে Script লিখা।
  • এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় রূপান্তর বা ট্রান্সলেট করা।
  •  

বর্তমান অবস্থান

বর্তমানে এর চাহিদা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। চাকরীর পাশাপাশি অনেক মানুষ এখন ফ্রিল্যান্সিং কে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে । এছারাও অনেকেই freelancing করে বেকারত্ব দূর করছে। আর এদের মধ্যে অধিকাংশই ডাটা এন্ট্রিতে কাজ করে যাচ্ছেন। তুলুনামূলক ভাবে এটি সহজ হবার জন্য অনেকেই একে বেছে নেয় ফ্রিল্যান্সার হিসেবে। বিভিন্ন আউটসোর্সিং ওয়েবসাইট যেমন, Fiverr, Upwork, Freelancer.com এ Data-Entry রিলেটেড অসংখ্য জব খুজে পাওয়া যায়।

 

ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

এই সেক্টরটি ফিউচার এর জন্যও মোটামটি সম্ভাবনাময় বলা চলে। আমাদের ডাটা বা তথ্য প্রায় আজীবন ই সংরক্ষণ করতে হবে। প্রয়োজনবোধে তা মাঝে মাঝে সংক্ষেপণ, পরিবর্তন বা পরিমার্জন ও করতে হতে পারে। তাই এইসব কাজের চাহিদা আজীবনই থেকে যাবে। আর মানুষ এখন ঘরে বসেই কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। একটু প্রশিক্ষণ পেলেই যেকোনো বয়সের মানুষের কাছেও এটি অত্যন্ত সহজ একটি কাজ। সুতরাং যারা এটা নিয়ে কাজ করতে চায় তারা বিনা সংকোচে কাজ শুরু করে দিতে পারে।

 

কোথায় শিখবো ?

এখন অনলাইন বা ইন্টারনেট এর যুগ। প্রায় সবার বাসাতেই নেট সংযোগ আছে। আপনি চাইলে বিভিন্ন উপায়ে ঘরে বসেই কাজ শিখতে পারেন। যেমন…

  • Youtube এর ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখে।
  • Online এ বিভিন্ন কোর্স এ ভর্তি হয়ে।
  • বিভিন্ন লাইভ ক্লাস এর মাধ্যমে।
  • বিভিন্ন বই বা সিডি সংগ্রহ করে।

ইত্যাদি উপায়ে বা সরাসরি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ যুক্ত হয়েও সহজেই এই কাজ শিখা যায়।

এই বিষয়ে আরও জানতে…https://bit.ly/3rbKW5e

সফলতা পেতে আরও পড়ুন…https://kazinishat.com/ways-to-be-a-successful-freelancer-%e0%a6%ab%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%b0/

 

Data entry in digital marketing
Data Entry

“ডাটা এন্ট্রি” শব্দটার সাথে অনেকেই হয়তো পরিচিত আবার অনেকের কাছেই নামটা নতুন মনে হতে পারে। যারা পরিচিত তারা হয়ত অনেকেই এটাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন বা নেয়ার কথা ভাবছেন। অফিস-আদালত প্রায় সব জায়গাতেই এর ব্যবহার আছে। তবে ঘরে বসে অর্থ উপার্জনেই এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে বেশ কয়েক বছর ধরেই। আর যারা জানেননা এটা কি তাদেরও চিন্তার কিছু নেই। আজকের পোস্টে আমি এই বিষয়েই বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করবো।

আজকের আলোচনার মধ্য যা যা থাকছে…

  • Data Entry কি?
  • কিভাবে করে ?
  • বর্তমান অবস্থান
  • ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
  • কিভাবে ও কোথায় শিখবো ও
  • পেশা হিসেবে বেছে নেয়া যায় কিনা
  •  

ডাটা এন্ট্রি কি ? (What is Data Entry?)

শব্দটির আভিধানিক অর্থ হল “মুদ্রাক্ষরিক”। অর্থাৎ কোন হার্ড কপি থেকে প্রয়োজনীয় ডাটা সফট কপি তে সংরক্ষন করে রাখা। আর এই কাজটি যিনি করেন তাকে বলা হয় “টাইপিস্ট”। কর্মক্ষেত্রে অনেকেই এই কাজটার সাথে সুপরিচিত। বড় বড় অফিস-আদালত, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ও আরও অনেকের ইনফর্মেশন বা তথ্য এর মাধ্যমে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস এ সংরক্ষন করে রাখা হয়। আর এগুলা রাখার জন্য ব্যবহার করা হয় উন্নত মানের সফটওয়্যার ও ডাটাবেস। আর এভাবে অনেক অনেক তথ্য খুব অল্প জায়গার মধ্যে ডাটা এন্ট্রির মাধ্যমে সেভ করে রাখা হয়। আর এগুলা খুব সহজে অনলাইনে আদান-প্রদান করাও সম্ভব।

উদাহারণস্বরূপ, একটি স্কুল এর ডাটাবেস নিয়ে ভাবা যেতে পারে…

স্কুল এ কতজন শিক্ষার্থী আছে, তাদের নাম ,ঠিকানা , পিতা-মাতার নাম, পেশা এগুলা সব তথ্যই একজন অপারেটর এর মাধ্যমে নিয়মিত অনলাইনে আপলোড করা হয়ে থাকে। এভাবে অন্যান্য ০rganizations ও তাদের তথ্য সংগ্রহ করে রাখে।

ডাটা-এন্ট্রির data বলতে মূলত অনেক প্রকার হতে পারে। এটা কোন টেক্সট, নাম্বার, কারও বাক্তিগত ইনফরমেশম, কোন ছবি, কিংবা ভিডিও বা অডিও ফাইল ও হতে পারে।

 

কিভাবে করে?

ডাটা এন্ট্রির কাজ আসলে অনলাইন/অফলাইন অনেক ভাবেই করা যায়। মূলত এর জন্য Microsoft Office এর সফটওয়্যার গুলোই ইউজ করা হয় খুব বেশী। এছাড়া বিভিন্ন ওয়েবসাইটে তাদের Design করা Format এও কাজ করতে হতে পারে। তবে যারা নতুন তদের অবশ্যই কম্পিউটার ও ইন্টারনেট পরিচালনায় দক্ষ হতে হবে।

এর গুরত্ব যেমন বড় বড় অফিস বা প্রতিষ্ঠানে আছে তেমনি এখন ঘরে বসে কাজ করার জন্যও এর জনপ্রিয়তা প্রচুর। অনেকেই ঘরে বসে শুধুমাত্র Internet ব্যবহার করে দেশ ও বিদেশ এর বিভিন্ন Company এর হয়ে কাজ করে অর্থ আয় করছে।

এর কিছু কাজের উদাহরণ যেমন…

  • বই বা খাতা থেকে Exel এ list আকারে data সেভ করা।
  • পিডিএফ/ইমেজ থেকে word এ কনভার্ট করা।
  • বিভিন্ন Online Form পূরণ করা।
  • Copy/Paste জাতীয় কাজ করা।
  • Audio/Voice থেকে Script লিখা।
  • এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় রূপান্তর বা ট্রান্সলেট করা।
  •  

বর্তমান অবস্থান

বর্তমানে এর চাহিদা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। চাকরীর পাশাপাশি অনেক মানুষ এখন ফ্রিল্যান্সিং কে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে । এছারাও অনেকেই freelancing করে বেকারত্ব দূর করছে। আর এদের মধ্যে অধিকাংশই ডাটা এন্ট্রিতে কাজ করে যাচ্ছেন। তুলুনামূলক ভাবে এটি সহজ হবার জন্য অনেকেই একে বেছে নেয় ফ্রিল্যান্সার হিসেবে। বিভিন্ন আউটসোর্সিং ওয়েবসাইট যেমন, Fiverr, Upwork, Freelancer.com এ Data-Entry রিলেটেড অসংখ্য জব খুজে পাওয়া যায়।

 

ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

এই সেক্টরটি ফিউচার এর জন্যও মোটামটি সম্ভাবনাময় বলা চলে। আমাদের ডাটা বা তথ্য প্রায় আজীবন ই সংরক্ষণ করতে হবে। প্রয়োজনবোধে তা মাঝে মাঝে সংক্ষেপণ, পরিবর্তন বা পরিমার্জন ও করতে হতে পারে। তাই এইসব কাজের চাহিদা আজীবনই থেকে যাবে। আর মানুষ এখন ঘরে বসেই কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। একটু প্রশিক্ষণ পেলেই যেকোনো বয়সের মানুষের কাছেও এটি অত্যন্ত সহজ একটি কাজ। সুতরাং যারা এটা নিয়ে কাজ করতে চায় তারা বিনা সংকোচে কাজ শুরু করে দিতে পারে।

 

কোথায় শিখবো ?

এখন অনলাইন বা ইন্টারনেট এর যুগ। প্রায় সবার বাসাতেই নেট সংযোগ আছে। আপনি চাইলে বিভিন্ন উপায়ে ঘরে বসেই কাজ শিখতে পারেন। যেমন…

  • Youtube এর ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখে।
  • Online এ বিভিন্ন কোর্স এ ভর্তি হয়ে।
  • বিভিন্ন লাইভ ক্লাস এর মাধ্যমে।
  • বিভিন্ন বই বা সিডি সংগ্রহ করে।

ইত্যাদি উপায়ে বা সরাসরি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ যুক্ত হয়েও সহজেই এই কাজ শিখা যায়।

এই বিষয়ে আরও জানতে…https://bit.ly/3rbKW5e

সফলতা পেতে আরও পড়ুন…https://kazinishat.com/ways-to-be-a-successful-freelancer-%e0%a6%ab%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%b0/