Site icon Kazi Nishat IT

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন, যাচাই, অনলাইন কপি ডাউনলোড, প্রতিলিপির জন্য আবেদন

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন, যাচাই, অনলাইন কপি ডাউনলোড, প্রতিলিপির জন্য আবেদন

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন, যাচাই, অনলাইন কপি ডাউনলোড, প্রতিলিপির জন্য আবেদন

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন, যাচাই, অনলাইন কপি ডাউনলোড, হারিয়ে যাওয়া সহ বিভিন্ন সমস্যায় পড়ে আমরা প্রায়ই ভোগান্তির স্বীকার হই। তাই, আজ আমরা চেষ্টা করেছি জন্ম নিবন্ধনের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে আপনাদের সহযোগিতা করতে।

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন

আমরা চাইলে অনলাইনে অথবা অফলাইনে যে কোন ভাবেই জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে পারি। অফলাইনে করতে হলে আমাকে নিকটস্থ পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারে যেতে হবে। সেখানে ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে হবে। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে আপনাকে একটি সংশোধিত নতুন জন্ম নিবন্ধন কপি দেয়া হবে। তবে শর্ত হচ্ছে, আপনাকে অবশ্যই পূর্বের কপি জমা দিতে হবে। পাশাপাশি আপনি যে জন্ম তথ্য সংশোধন করতে চাচ্ছেন, সেটির সপক্ষে কোন একটি ডকুমেন্ট প্রদর্শন করতে হবে। যেমন, পিতার নাম, মাতার নাম ইত্যাদির বানান সহ যে কোন কিছু পরিবর্তন করতে তাদের স্ব স্ব জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে। নিজের জন্ম তারিখ বা নামের বানান ইত্যাদি পরিবর্তন করতে শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট ইত্যাদি ডকুমেন্ট গ্রহন করা হয়।

জন্ম নিবন্ধন যাচাই

অনলাইনে সংশোধন করতে হলে প্রথমে আপনার জন্ম নিবন্ধন চেক করে দেখতে হবে যে, এর সমস্ত ডাটা অনলাইনে আপডেট করা আছে কি না। যদি না থাকে, তাহলে উপরের নিয়মের মতই নিকটস্থ পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারে যেতে হবে। সেখানে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ফরম পূরণ করে আবেদন করতে হবে। আর যদি দেখা যায় যে, আপনি জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারছেন, তাহলে অনলাইনে সংশোধনও করতে পারবেন।

আপনি যদি প্রবাসী হয়ে থাকেন, তাহলেও আপনি অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। তবে তার জন্য আপনি যে দেশে বসবাস করছেন, সেই দেশের বাংলাদেশী দূতাবাসে যোগাযোগ করে হার্ড কপি সংগ্রহ করতে পারবেন। বিবাহিত নারীরার জন্ম সনদে পিতার নামই লিখতে হবে, এখন পর্যন্ত সরকারি বিধি মোতাবেক সনদে স্বামীর নাম উল্লেখ করা যায় না।

প্রতিলিপির জন্য আবেদন

অনেক সময় হারিয়ে গেলে কিংবা নষ্ট হয়ে গেলে আমাদের নতুন কপি সংগ্রহ করার প্রয়োজন পড়ে। এই কাজটিও আপনি অনলাইনে এবং অফলাইনে যে কোন ভাবে জন্ম নিবন্ধন এর প্রতিলিপির জন্য আবেদন করতে পারবেন। অফলাইনে করা অনেক সময় তুলনামূলক সহজ হয়। হারিয়ে যাওয়া ডকুমেন্টের ক্ষেত্রে একটি জিডি করে, জিডির কপি সাথে রাখা ভালো।

আপনার নিকটস্থ সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের ইউডিসি থেকে হারিয়ে যাওয়া জন্ম নিবন্ধন ফরম সংগ্রহ করে তা ডকুমেন্ট সংযোজন করে এবং ফী জমা দিয়ে দিলেই অল্প সময়ে নতুন কপি পেয়ে যাবেন।

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম

অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম ডাউনলোড করে আমরা পূরণ করে অফলাইনে জমা দিতে পারি। এছাড়া অনলাইনেও জমা দিতে পারি। কিন্তু অনলাইনে আবেদন জমা দেয়ার জন্য পিতা এবং মাতার জন্ম সনদ অনলাইনে আপডেট করা থাকতে হবে। এছাড়াও শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদ সহ আরো অনেক তথ্যের দরকার পড়ে। তাই, নতুন আবেদনের ক্ষেত্রে অফলাইনে তুলনামূলক সহজ।

শিশুর বয়স ০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যেই নতুন জন্ম সনদের আবেদন করা উচিৎ। কারণ এই সময় খুব সহজেই অফিশিয়াল ফর্মালিটি সম্পন্ন করা যায়। ৪৫ পর্যন্ত বিনামূল্য / সল্প খরচে এবং তারপর বর্ধিত ফী এর বিনিময়ে আবেদন করা যায়। নবজাতকের ক্ষেত্রে পিতা এবং মাতার সনদের কপি এবং টিকা কার্ডই আবেদনের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট হিসেবে ধরা হয়। ২ বছরের মধ্যে যদি কেউ আবেদন না করে, তবে পরবর্তীতে আবেদন করতে গেলে তাকে জরিমানা দিতে হবে।

অনলাইনে আবেদন করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন সঠিক তথ্য দিয়ে আমরা আবেদন ফর্ম পূরন করি। কারণ আবেদনে কোন তথ্যগত ভূল থাকলে তা সংশোধন করা একটি দীর্ঘ এবং ঝামেলাপূর্ণ প্রক্রিয়া।

কোন অবস্থাতেই একাধিকবার আবেদন কিংবা একাধিক কপি সংগ্রহ করা যাবে। কোন কারনে স্থায়ী ঠিকানা বা বর্তমান ঠিকানার একটিতে নিবন্ধন থাকা অবস্থায় অন্যটিতে সংগ্রহ করার প্রয়োজন হলে সেই ক্ষেত্রে বাতিলের আবেদন করতে হবে। আগের কপি সম্পূর্ণরূপে সার্ভার থেকে মুছে গেলে তারপরেই নতুন করে আবেদন করা উচিৎ। অন্যথায় আপনি আইনানুগ কোন ঝামেলায় জড়িয়ে যেতে পারেন।

Exit mobile version