ভিডিও এডিটিং – ভিডিও হচ্ছে প্রতি মিনিতে ২৮ বা তার অধিক ইস্থির ছবির গতিকে চোখের সামনে তুলে ধরাকে বুঝায় । আর এই ভিডিওকে প্রয়োজনীয় কার্য সম্পাদন করে সুন্দরভাবে মানুষের সামনে তুলে ধরা এবং যা মানুষের অন্তরে অনুভুতি প্রকাশ করতে সক্ষম তাই ভিডিও এডিটিং । অন্যভাবে বলা যায় যে, নিজের অনুভূতির কল্পনা এবং গল্পগুলোকে কোনো ইলেট্রোনিক বা ইলেট্রিক যন্ত্রের মাধ্যমে দৃশমান করে হাজির করার পদ্ধতি । এটি জানা থাকলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং এমন কি স্বাধীন পেশা হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন।
কেন শিখবেন ভিডিও এডিটিং?
আপনি সাধাণত এইচএসসি পাশ করে প্রশিক্ষন গ্রহণের মাধ্যমে শিখতে পারেন। তবে শিক্ষাগত যোগ্যতা তেমন কোন বিষয় না। আপনার মধ্যে যদি ক্রিটিভ থাকে আর মনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা থাকে যে আমি এটি শিখব তাহলে আপনি এই ক্রিটিভ এবং প্রতিজ্ঞাকে কাজে লাগিয়ে একজন ভালোমানের প্রোফেশনাল ডিডিও এডিটর হতে পারেন। আর এটিকে কাজে লাগিয়ে হলিউড, বলিউড, টালিউড এবং ঢালিউড এ একজন ফ্লিম এডিটর হিসেবে নিজেকে দেখতে পারবেন। এছাড়াও টিচিং পেশা হিসেবে নিজেকে গড়িয়ে তুলতে পারেন। বাংলাদেশে বর্তমানে অনেক সরকারি/বেসরকারি/কোম্পানি ভিডিও এডিটিং ওপর নিয়োগ প্রদান করে থাকে। আপনি ইচ্ছা করলে স্বাধীন পেশা হসেবে বেছে নিতে পারেন। যেমনঃ ডিজিটাল মাকের্টে এবং অনলাইনে বিভিন্ন ধরণের কাজের সুযোগ রয়েছে।
ভিডিও এডিটিং শেখা কি এতোই সহজ ?
এডিটিং শেখা যদিও একটি কঠিন বিষয়। তবে বর্তমান প্রযুক্তির অগ্রগতি ও সফট্ওয়ারের সহজ লভ্যতার কারণে এডিটিং শেখা এখন তেমন একটা অতি কঠিন বিষয় নয়। ইচ্ছে করলে আপনি ঘরে বসে নিজেই শিখতে পারেন। এর জন্য প্রয়োজন একটি ভালো মানের ডেস্কটপ/ল্যাপটপ । যার মাধ্যমে আপনি নিজ ইচ্ছেতে যে কোন সময় শিখতে পারেন। এছাড়াও আপনার প্রয়োজন হবে উন্নত মানের ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার। যেমনঃ আপেল ইমভিএ, লুমেন-৫, অনিমাকের, এডোবি প্রিমিয়ার এলিমেন্টস এবং এডোবি প্রিমিয়ার প্রো ইত্যাদি।
কোথায় শিখবেন?
এই কাজ শেখার জন্য বর্তমানে বিভিন্ন ধরণের আইটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা প্রতিষ্ঠানিক শিখা দিয়ে থাকে। যেখান থেকে আপনি পেইড এবং সরকারী ফ্রি কোর্স এর মাধ্যমে শিখতে পারবেন। এছাড়াও অনলাইন থেকেও অসংখ্য পেইড ও ফ্রি কোর্স করে শিখতে পারেন। যেমনঃ ইউটিব এবং ফ্রিতে বিভিন্ন ধরণের ওয়েবসাইট থেকেও শিখতে পারেন।
পেইড কোর্স না ফ্রি কোর্স করবেন?
অনেকে যারা এই পেশায় আসার কথা চিন্তা অথবা ভাবছেন। তারা চিন্তা করছেন যে কোন কোর্সটি করবো পেইড না ফ্রি কোর্স? তবে আমি তাদেরকে বলো যে, আপনারা প্রথমে ইউটিব। পরবর্তীতে অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাই থেকে ফ্রিতে শিখে প্রাথমিক ধারনা নিতে পারেন। পরবর্তীতে যখন আপনার মোটামুটি একটা ভালো ধারণা হবে। তখন আপনি এডভ্যান্স লেভেলের পেইড কোর্স করতে পারেন। নিম্নে কিছু পেইড কোর্স করার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নাম এবং ফ্রিতে প্রশিক্ষন নেওয়ার অনলাইন ওয়েবসাইট ও বিশ্ববিদ্যালয় নাম তুলে ধরা হলো:
পেইড কোর্সঃ
- ইশিখন.কম, দ্য ক্রিয়েটিভ বিডি এবং বেসিস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (BITM) ইত্যাদি।
ফ্রি কোর্স সমূহঃ
- ওয়বসাইট: Coursera, Udemy, Khan Academy, edX, Memrise.
- এবং বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর হলো: STANFORD UNIVERSITY, M.I.T, HARVARD UNIVERSITY YALE , UNIV, UC BERKELEY, UNIV OF MARYLAND.
ভিডিও এডিটিং শিখে মাসে কত টাকা আয় করা যায়?
এটি যদি ভালোভাবে শিখেন এবং প্রোফেসনাল হিসেবে কাজ করেন। তাহলে প্রথম দিকে মাসে অনুমানিক ১৫-২০ হাজার টাকা আয় শুরু করতে পারেন। পরবর্তীতে আস্তে আস্তে দক্ষতা বৃদ্ধির সাথে আয় বাড়তে থাকবে।
তাই পরিশেষে বলা যেতে পারে যে, নিজেকে দক্ষ ও স্মার্ট পেশা হিসেবে গড়ে তুলন। আজ থেকে শুরু হোক ভিডিও এডিটিং শেখা।
কনটেন্ট রাইটিং কি ও কনটেন্ট রাইটিং এর কিছু সহজ টিপস অ্যান্ড ট্রিকস