গ্রাফিক্স ডিজাইন বলতে সাধারনত রঙ এবং কিছু আকার ব্যাবহার করে কোন তথ্য উপস্থাপন করাকে বুঝায়। বর্তমান সময়ে এটার  চাহিদা খুবই বেশী। যেসব ডিজাইনার কাজ করেন তারা মুলত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বা ব্যক্তির জন্য প্রিন্ট বিজ্ঞাপন, বিপণন সামগ্রী, লোগো, সোশ্যাল মিডিয়া ইমেজ এবং নিউজলেটার এর ডিজাইন করে থাকেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন এর চাহিদা

ডিজাইন অন্তর্ভুক্ত যতকাজ আছে তার সবই গ্রাফিক্স ডিজাইনের ভিতর জড়িত। বর্তমান অনলাইন বিপণনের যুগে পণ্যের বাজারজাতকরণ, বিজ্ঞাপন, বিপণন,  ইত্যাদি কাজের জন্য একজন ডিজানারের প্রয়োজন পরে। এইসময়ে তাই অনেকেই এটি শিখে আয়ের পথ বের করে নিচ্ছেন। আর  ডিজাইনের সফলতা নির্ভর করে একজন ডিজাইনারের আকর্ষনীয় ডিজাইনের উপর।

গ্রাফিক্স ডিজাইন এর প্রকারভেদ

কাজের ধরন ও চাহিদার ভিত্তিতে  দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে।যথা –

১. প্রকৌশলী ডিজাইন

২. কম্পিউটার গ্রাফিক্স

 

  • প্রকৌশলী ডিজাইন: প্রকৌশলী ডিজাইন হলো নিজের হাতে রং বা কালি ব্যবহার করে দেয়ালে বা কাগজে যে ছবি আঁকা হয় তাকে প্রকৌশলী ডিজাইন বলে
  • কম্পিউটার গ্রাফিক্স: কম্পিউটার গ্রাফিক্স হচ্ছে কম্পিউটারে বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে যে ডিজাইনগুলো করা হয় তাকে কম্পিউটার গ্রাফিক্স বলে। বর্তমান যুগে কম্পিউটার গ্রাফিক্স ডিজাইন এর চাহিদা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।                              এটা কে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. ষ্টিলইমেজ গ্রাফিক্স

২. মোশান গ্রাফিক্স

ষ্টিল ইমেজ গ্রাফিক্স: ষ্টীল ইমেজ বলতে ইমেজ বা ছবিকে বুঝানো হয়েছে। এগুলো কাগজে প্রিন্ট করা হয় যার ফলে নড়াচড়া করতে পারেনা। যেমন–পোষ্টার , ব্যানার  ইত্যাদি।

ষ্টিলইমেজ গ্রাফিক্স কে আবার তিন ভাগে ভাগ করা যায়–

  • টাইপোগ্রাফি
  • রোষ্টারইমেজ
  • ভেক্টরইমেজ

মোশান গ্রাফিক্স: মোশান গ্রাফিক্স বলতে একধরনের ভিডিও চিত্রকে বুঝানো হয়। ভিডিও তে যেমন নড়াচড়া করে ঠিক তেমনি এই মোশান গ্রাফিক্সকে ইমেজ নড়াচড়া করে। অ্যানিমেশন ভিডিও হলো মোশানগ্রাফিক্স এর অন্যতম উদাহরণ।

মোশান গ্রাফিক্স আবার দুই প্রকার।যথা–

১. ভিডিও গ্রাফিক্স

২. অ্যানিমেশন গ্রাফিক্স

Graphic Design

গ্রাফিক্স ডিজাইন এর গুরুত্ব

বর্তমান সময়ে গ্রাফিক্স ডিজাইনের গুরুত্ব অপরিসীম।  এটা শিখে খুব সহজেই ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস গুলো কাজ করে নিজের আয়ের আরেকটা উৎস তৈরী করা যায়। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে অনেকেই ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে খুব ভালো আয় করছে। তবে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট প্লেসগুলোতে কাজ করার জন্যে ইংরেজি ভাষার উপর স্কিল ভালো হতে হবে এবং সেই সাথে একজন দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইন হতে হবে।

গ্রাফিক্স ডিজাইনের সুবিধা এবং অসুবিধা

প্রত্যেকটা জিনিসেরই কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা থাকে। ঠিক তেমনভাবেই  এর ও কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। ডিজাইন করার জন্য অবশ্যই কম্পিউটার ব্যাবহার এবং কিছু সফটওয়্যার ব্যাবহার সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকতে হবে। সৃষ্টিশীল মানসিকতা থাকতে হবে। রং, আকার, আকৃতি নিয়ে কাজ করার ধৈর্য থাকতে হবে। এসব বিষয় নিয়ে ভাল ধারনা বা অভিজ্ঞতা না থাকলে ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব কঠিন হয়ে পড়বে।

উপসংহার

গ্রাফিক্স ডিজাইনে ক্যারিয়ার গড়তে হলে সর্বপ্রথম সৃষ্টিশীল হতে হবে, মূল থিম মাথা থেকে আসতে হবে, এরপর সফটওয়্যার এর কাজ শিখতে হবে । ডিজাইন করার জন্য অনেক ধরনের সফটওয়্যার রয়েছে- এডোবিইলাস্ট্রেটর, এডোবিফটোশপ, এডোবিআফটারইফেক্টস ইত্যাদি। এসব সফটওয়্যার  বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয় ।