বিশ্বের এখন এতটাই উন্নত হয়ে গিয়েছে যে মানুষ আর এখন অফিসে গিয়ে চাকরি করতে চায় না। আর উন্নত  অনেক দেশের মানুষই এখন বাহিরে যাওয়া থেকে ঘরের থেকে কাজ করাটা বেশি পছন্দ করে তাই তারা বেছে নিয়েছে ফ্রিলান্সিং-কে তাদের জিবনের উদ্দেশ্য হিসাবে। কারণ উন্নত দেশ ও উন্নত দেশের জনগন সবসময় বেছে নেয় উন্নত পন্থা। আর উন্নত দেশগুলোর জন্য ফ্রিল্যান্সিং এখন বহুল আলোচিত একটি বিষয়। আর আমন মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। প্রতিযোগিতাও বেড়েই চলেছে আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ও ফাইভার প্রভৃতি মার্কেটপ্লেস গুলোতে। বাংলাদেশেও গড়ে উঠেছে স্থানীয় মার্কেটপ্লেস ফ্রিল্যান্সার। এখন এই পর্যায়ে সফলতা লাভ করতে অবশ্যই আপনাকে বাকিদের থেকে ভিন্নতর হতে হবে। আর আজকে আমরা আপনাদের জন্য সেই একই টিপস নিয়ে এসেছি যা দ্বারা আপনি নিজেকে নিজে সবার থেকে আলাদা ও ভিন্নতর করে গড়ে তুলতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্স ওয়েব ডিজাইন বিষয়ক সেমিনার – Kazi Nishat IT

ফ্রিল্যান্সার হিসাবে নিজেকে নিজে চিনা

আউটসোর্সিং ইন্ডাস্ট্রি বা ফ্রিল্যান্সিং জাতীয় কাজে মূলত তিন ধরণের লোককে দেখা যায়। তাদের মধ্যে যারা প্রথম শ্রেণীর ফ্রিল্যান্সার তারা কখনো ডেস্ক জব পছন্দ করে না। তারপর দ্বিতীয় শ্রেণীর যে ফ্রিল্যান্সার আছে তারা পার্টটাইম ফ্রিলান্সিং করে কিন্তু এরা নিয়মিত ভাবে কাজ করে কিন্তু যারা তৃতীয় শ্রেণীর ফ্রিল্যান্সার তারা এক সময় ভাবে তারা জব করবে অন্য সময় ভাবে তারা ফ্রিল্যান্সার হবে। তাদের কোন স্থির মতামত নেই।

তাই আপনি যদি তৃতীয় শ্রেণীর ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে নিজে নিজে বদলাতে হবে। এর জন্য নিজেকে নিজকে চিনতে হবে। বুঝতে হবে নিজের দুর্বলতা কি। বুঝতে হবে কোন কাজের প্রতি নিজের আগ্রহটা বেশি। আর আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে হবে এবং জীবনের লক্ষ্য স্থির করে নিতে হবে।

সবসময় হাতে অপশন রাখা

একজন আদর্শ ফ্রিলাইন্সার সব সময় নিজের হাতে একটি বিকল্প বা অপশন রাখে। অনেকেই আছে যারা জীবনে একটি লক্ষ্য স্থির করে জীবনে আগানো শুরু করে। কিন্তু ফ্রিলাইন্সারদের কাছে তা ভিন্ন। কারণ ফ্রিলাইন্সারদেরকে মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে হয় তাই তাদেরকে অনেক বায়ারদের সাথে ডিল করতে হয় কিন্তু একজন বায়ারকে কখনো আপনি দীর্ঘ সময় ধরে রাখতে পারবেন না। কারণ যখন আপনি আপনার কাজের মূল্যটা বাড়াবেন তখনই দেখবেন যে আপনার বায়ার আপনাকে ছেরে দিয়েছে। তাই একজন ফ্রিলাইন্সারকে সবসময় হাতে একটি ব্যাকআপ অপশন রাখতে হবে।

ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কাজ নির্বাচন করা

একজন ফ্রিলাইন্সারকে সবসময় নিজের কাজ নিজে বুঝে নিতে হবে। কারণ ফ্রিলাইন্সিং এর ক্ষেত্রে বায়ারকে তার মন মত কাজ করে দিতে হয় যাকে ক্লাইন্ট সেটিসফেকশন বলে। আবার এই ফ্রিলাইন্সিং মার্কেটপ্লেসে অনেক অসৎ বায়ারও আছে যার ফলে আপনাকে অনেক যাচাই-বাছাই করে একজন ক্লাইন্টকে সিলেক্ট করতে হবে। আর যদি কখনো ভুলে অসৎ বায়ারদের পাল্লাতে পরেও যান তাহলে সাপোর্ট সিস্টেম এর কাছে সাহায্য চান।

ওয়েব ডিজাইন কি ও কিভাবে ওয়েব ডিজাইন শিখবেন – Kazi Nishat IT

সবসময় নতুন কাজ শেখা

একজন ফ্রিলাইন্সারকে দক্ষ হওয়ার জন্য সবসময়ই নতুন নতুন কাজ শিখতে হয়। যদি আপনি ভালো কাজ জানেন এবং এডভান্স লেভেলের কাজ পাড়েন তাহলে আপনার কাছে বায়ার এর অভাব হবেনা। আর ভালো কাজ জানার কারনে আপনার সার্ভিস এর মূল্য বা কস্ট অনেক বেশি হবে। তাই একজন ফ্রিলাইন্সারকে প্রতিদিন নতুন কাজ শিখার জন্য নিজেকে কমপক্ষে ১ ঘণ্টা সময় দেওয়া উচিত। এভাবেই একজন নতুন ফ্রিলাইন্সার দক্ষ ফ্রিলাইন্সার এ রূপান্তরিত হতে পারে।

ফ্রিল্যান্সার সময়ের সঠিক ব্যাবহার করা

ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে সময় একটি মূল্যবান সম্পদ। আপনার সময় আপনাকে গুছিয়ে নিতে হবে যার ফলে আপনার সময়ের সঠিক ব্যবহার করা সম্ভব হবে। আপনি একটি টাইম ট্র্যাকার অ্যাপ ব্যবহার করুন। নোট নেয়ার জন্য এভারনোট, গুগল কিপ এর মত টুলস গুলোর সাহায্য নিন। সময় মত ক্লাইন্ট এর কাজ শেষ করুন। সময়ানুবর্তি এবং দায়িত্বশীল হওয়াটা ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে খুবই জরুরি।