Kazi Nishat IT

ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম, ডেলিভারি চেক, পাসপোর্ট আবেদন ফরম

ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম, ডেলিভারি চেক, পাসপোর্ট আবেদন ফরম

ই-পাসপোর্ট বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আপডেট পাসপোর্ট। এটি তৈরি করতে আধুনিক সব প্রযুক্তি ব্যাবহার করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এর অভ্যন্তরীণ সকল তথ্য অনলাইন সার্ভারে সংরক্ষিত থাকবে। এবং পৃথিবীর যে কোন অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান তা মুহূর্তেই এক্সেস করতে পারবে।

এর আগের সবচেয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ছিলো মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বা MRP যেটিও এখনো আবেদন করা যায়।

পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম / ই পাসপোর্ট ডেলিভারি চেক

আপনি যদি অনলাইনে passport application করে থাকেন, তাহলে খুব সহজেই e passport check করতে পারবেন। এর জন্য আপনার তিনটি তথ্য লাগবে। অনলাইন রেজিস্ট্রেশন আইডি অথবা এপ্লিকেশন আইডি। তার সাথে যে ইমেইল থেকে আপনি পোর্টালে একাউন্ট খুলেছেন, সেই ইমেইল এড্রেস। এবং আবেদনকারীর জন্ম তারিখ। এই তিনটি সঠিক তথ্য দিকে ক্যাপচা পূরন করলেই আপনি আপনার আবেদনের বর্তমান অবস্থা, পাসপোর্ট হয়েছে কিনা তা চেক করতে পারবেন।

e passport check

ই পাসপোর্ট করার নিয়ম

অনলাইন পোর্টালে পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ করে সহজেই আপনি e passport application করতে পারবেন। আবেদন ফর্ম পূরণ করে সেটি জমা দেয়ার জন্য একটি শিডিউলও নিতে পারবেন। সাধারণত মাস খানেকের মধ্যে এই শিডিউল পাওয়া যায়। তবে এই সময়টি এগিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।

পূর্বে অনলাইনে আবেদন করে যে কোন সময় পাসপোর্ট ফি পেমেন্ট করে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেয়া এবং ছবি তোলার জন্য পাসপোর্ট অফিসে চলে যাওয়া যেত। যার কারনে অনেক সময় অনেক লম্বা সিরিয়ালে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে ধাকতে হত।

কিন্তু বর্তমানে আগে থেকে শিডিউল নেয়া থাকার কারনে অনাহুত ভিড় কম হয়। তাই অল্প সময়েই নির্দিষ্ট শিডিউল মত গিয়ে আবেদন ফর্ম জমা দেয়া যায়। ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে এবং ছবি তুলে অফিশিয়াল ফর্মালিটি শেষ করা যায়।

ছবি তোলার জন্য অবশ্যই রঙ্গিন পোশাক করে যাবেন, এক কালার হলে ভালো হয়। কোন অবস্থাতেই সাদা শার্ট পরে যাবেন না।

ই পাসপোর্ট ফি কত

ই-পাসপোর্ট ফি নির্ভর করে আপনি কি ৪৮ পাতা নাকি ৬৪ পাতা নেবেন, ৫ বছর নাকি ১০ বছর নেবেন। এছাড়াও সাধারণ ডেলিভারি এবং আর্জেন্ট ডেলিভারির মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে আমরা এই লিংকে ভিজিট করে আপডেট ফী দেখে নিতে পারবো

বর্তমানে (এই পোস্ট লেখার সময়ে) ৪৮ পাতার পাসপোর্ট আবেদন একসেপ্ট করছে না। তাই অবশ্যই ৬৪ পাতার আবেদন করুন।

আবেদন করতে কি কি লাগে

আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, চাকরি করলে চাকরীর নিয়োগপত্র, ব্যাবসা করলে ট্রেড লাইসেন্স, জন্ম নিবন্ধন , বাসার ইলেক্ট্রিক বিল/গ্যাস বিল/টেলিফোন বিলের কপি ইত্যাদি ই পাসপোর্ট করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র  প্রয়োজন হয়। পূর্বে আবেদন করতে সত্যায়িত করার প্রয়োজন হত। বর্তমানে এর প্রয়োজন নেই।

পুলিশ ভেরিফিকেশন

আপনার আবেদনের কয়েকদিনের মধ্যেই আপনার থানায় আবেদন ফর্মটি ভেরিফিকেশনের জন্য যাবে। আপনি যদি স্থায়ী ঠিকানায় আবেদন করেন, সেই ক্ষেত্রে এক জায়গায় (স্থায়ী ঠিকানা) এবং বর্তমান ঠিকানায় আবেদন করলে দুই জায়গায় (স্থায়ী এবং বর্তমান ঠিকানা) ভেরিফিকেশন হবে। আপনার ই-পাসপোর্ট আবেদনের তথ্যে কোন ভুল কিংবা অসঙ্গতি থাকলে আপনি এই ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ায় ভোগান্তির স্বীকার হতে পারেন। ভেরিফিকেশন সফলভাবে সম্পন্ন হলে অল্প সময়ের মধ্যেই আপনার পাসপোর্ট হাতে পেয়ে যাবেন।

Exit mobile version