বর্তমানে ইউটিউব মার্কেটিং হচ্ছে ইন্টারনেটে যে কোন পণ্য বা সার্ভিস প্রচার করার সবথেকে দারুন এবং কার্যকারী একটি উপায়। বর্তমানে যত ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে তারা গুগল সার্চ ইঞ্জিনের পর সব থেকে বেশি ব্যবহার করে থাকে ইউটিউব-কে।

ইউটিউব কে ব্যবহার করে কোন পন্য, সেবা বা বিজনেসের ব্র্যান্ডইং করাই হলো ইউটিউব মার্কেটিং। তবে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে, তার এড থেকে প্রাপ্ত আয়কেও অনেকে ইউটিউব মার্কেটিং হিসেবে বিবেচনা করে। অবশ্য আমরা আজকে দুটো বিষয়ই আলোচনা করবো। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর কথা বললে ফেসবুকের পরই ইউটিউব স্থান পায়।

Youtube picture

ইউটিউব সম্পর্কে জেনে নিন কিছু তথ্য-

  • বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং সাইট হলো ইউটিউব।
  • ১৯০ কোটি একটিভ ব্যবহারকারীর পদচারণা থাকে ইউটিউবে।
  • জানলে অবাক হবেন, প্রতিদিন এক বিলিয়ন (১০০ কোটি ) ঘন্টা ভিডিও দেখা হয় ইউটিউবে।
  • ইউটিউব (গুগলের মালিকানাধীন) গুগলের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সার্চ ইঞ্জিন ।

আয়ের উৎস কি?

  • নিজের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রমোশন ও বিক্রয় করা যায়।
  • Google AdSense এর মাধ্যমে চ্যানেল রেজিস্ট্রেশন করে ইউটিউব বিজ্ঞাপনের আয়ের ৬৮% অর্থ (সর্বোচ্চ) পাওয়া যায়।
  • অন্য কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রয় করে তা হতে আয় বলা হয়।

আয়ের জন্য কি করতে হবে?

Google AdSense এ প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আবেদন করার পর মনিটাইজিং এর জন্য ইউটিউব চ্যানেলকে নিম্নরূপ যোগ্যতা অর্জন করতে হয়:

  • ১ বছরের মধ্যে ১000 সাবস্ক্রাইবার ও ৪000 ঘণ্টা ওয়াচ ভিউ অবশ্যই হতে হবে।
  • যে জি-মেইল দিয়ে অ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করা হয়েছে সেই জি-মেইলে আপনার বয়স নুন্যতম ১৮ হতে হবে।
  • চ্যানেলের একটি চ্যানেল আইকন থাকতে হবে।
  • যদি পাবলিশ ভিডিওগুলি বানিজ্যিক ভাবে সফল হয় তাহলে অবশ্যই YouTube নিজে থেকেই পার্টনার করে নেয়।
Youtube marketing image
Youtube marketing image

ইউটিউব মার্কেটিং কি? (What is YouTube Marketing?)

ইউটিউবে প্রচারিত ব্যবসা সম্পর্কিত ভিডিও কনটেন্টের বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। আর ইউজার ঘরে বসেই পণ্য বা প্রোডাক্ট বা সার্ভিস গ্রহণ করে। এই পদ্ধতিই হচ্ছে ইউটিউব মার্কেটিং।

ইউটিউব মার্কেটিং করতে হলে কি প্রয়োজন?

  • নিজের ব্র্যান্ড বা ব্যবসায়ের জন্য একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করা
  • গ্রাহকদের পছন্দ অনুযায়ী ভিডিও তৈরি করে আপলোড করা
  • ইউটিউব এর এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) করা
  • ইউটিউব চ্যানেলকে মার্কেটিং করা ও সাবস্ক্রাইবার বাড়ানো
  • ইউটিউব এর পলিসি ও এলগোরিদম জানা

ইউটিউবের ইউজার কারা?

  1. ভিজিটর (শুধুমাত্র ভিডিও দেখে থাকে)
  2. ইউটিউবার বা কনটেন্ট ক্রিয়েটর (যারা ভিডিও তৈরি করে আপলোড করে)
  3. বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি (যারা ইউটিউবে পন্য বা সেবার জন্য পেইড প্রমোশন করে থাকে)

ইউটিউব মার্কেটিং কেন করবেন (Why do YouTube marketing)

বর্তমানে মানুষ অফলাইন থেকে অনলাইনের ব্যবসার দিকে বেশি ঝুঁকছে। কেননা এই পদ্ধতিতে অনেক বেশি কাস্টমার পাওয়া যায়।

এখন অল্পকিছু টাকা বিনিয়োগ করে খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসার মার্কেটিং করে অর্থ আয় করতে পারেন।

আর এই অনলাইনের মাধ্যমে নিজের ব্যবসা পরিচালনা করতে হলে অবশ্যই আপনার ব্যবসা সম্পর্কে আগে মার্কেটিং করতে হবে।

অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসার প্রচার করাকেই মূলত বলা হয়ে থাকে ডিজিটাল মার্কেটিং আর ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি শাখা হচ্ছে ইউটিউব মার্কেটিং।

ইউটিউব মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসার পণ্য বা প্রডাক্টকে অনেক মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারবেন বা প্রচার করতে পারবেন।

বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মধ্যে ইউটিউব মার্কেটিং-কে সবচেয়ে কার্যকারী ধরা হয়ে থাকে। কেননা  বর্তমানে মানুষ ভিডিও কনটেন্ট এর প্রতি বেশি আকর্ষিত হচ্ছে।

বর্তমানে মানুষ ইউটিউবে অনেক সময় কাটায়। তাই সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পণ্যের মার্কেটিং করার জন্য ইউটিউবকেই বেছে নিয়ে থাকেন। তাহলে এটি হতে পারে সবচেয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত।

অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন যে ইউটিউব মার্কেটিং কেন করবেন আর কিভাবে এর মাধ্যমে প্রোডাক্টের প্রচার খুব দ্রুত করা যায় এবং প্রোডাক্ট বিক্রির পরিমাণটাও অনেক বেড়ে যায়।

ইউটিউব মার্কেটিং কিভাবে করবেন? (How to do YouTube Marketing?)

আপনাদের তো এতক্ষণ বললাম যে ইউটিউব মার্কেটিং কি এবং কেন করবেন সেই সম্পর্কে।

এবার আমি আপনাদেরকে ধাপে ধাপে বলব যে ইউটিউব মার্কেটিং কিভাবে করবেন সেই সম্পর্কেঃ

ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হবে 

প্রথমেই জিমেইল ব্যবহার করে ফ্রিতেই ইউটিউব এর মাধ্যমে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারবেন।

ইউটিউব চ্যানেল থেকে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন।

চ্যানেলটি সেটআপ করতে হবে 

চ্যানেলটিকে সুন্দর করে সেটাপ করতে হবে এবং এর প্রফেশনাল লুক দিতে হবে।

ইউটিউব মার্কেটিং করার জন্য চ্যানেলের নামটা খুবই কার্যকরী। চ্যানেলের জন্য এমন একটি নাম সিলেক্ট করতে হবে যেন চ্যানেলের নাম দেখেই বুঝা যায় চ্যানেলটি কিসের।

তবে অবশ্যই আপনার ইউটিউব চ্যানেলের নাম আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সম্পর্কিত কোন বিষয়ের সাথে মিল রেখে দিতে হবে যাতে লোকেরা আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে চ্যানেলের নাম দেখেই ধারণা পায়।

তারপরে  চ্যানেলের লোগো, সোসিয়াল প্রোফাইল লিংক এবং চ্যানেলের ডেসক্রিপশন খুব সুন্দর করে ভালো করে সেটআপ করে নিতে হবে যাতে চ্যানেলটি অনেক প্রফেশনাল লাগে।

আপনার ব্যবসা সম্পর্কিত ভিডিও তৈরি করতে হবে 

আপনার ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করা শেষ এবং আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি এতক্ষণে সেটআপ করা শেষ এবার আপনার যে কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে আপনার ব্যবসার সাথে সম্পর্কিত ভিডিও তৈরি।

এখানে আপনি আপনার ব্যবসা সম্পর্কিত কি ধরনের ভিডিও তৈরী করবেন সেটা সম্পূর্ণ আপনার ব্যাপার।

ধরুন আপনার প্রতিষ্ঠানে আপনি মোবাইল বিক্রি করেন। তাহলে আপনাকে মোবাইল সম্পর্কিত এমন ধরনের ভিডিও তৈরী করতে হবে যাতে আপনার কাস্টমাররা একটি ভিডিও দেখেই সবকিছু বুঝতে পারে।

আপনার এই ক্ষেত্রে এমন কোন ভিডিও তৈরি করা যাবে না যেসব ভিডিও দেখে ইউজাররা বিরক্ত হয়। এদিকটা আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

আর আপনাকে যদি সফল হতে হয় এই দিকটি আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

এক কথায় ইউটিউব মার্কেটিং এর বড় একটি পার্ট  বলা যায় এটিকে। তাই অবশ্যই ভিডিও তৈরি করার আগে আপনার সৃজনশীলতার পরিচয় দিতে হবে এবং ভাল কোয়ালিটির ভিডিও তৈরি করতে হবে।

তবে ভিডিও তৈরি করার সময় আপনাকে আরো একটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে সেটি হচ্ছে বেশি দীর্ঘ ভিডিও তৈরি করা যাবে না। আপনাকে কম সময়ের ভিতর ভিডিও তৈরি করতে হবে এবং সেটি যেন অনেক তথ্যবহুল হয়।

ভিডিওগুলো এসইও করতে হবে 

ভিডিও তৈরি হলে পরবর্তি পদক্ষেপ হচ্ছে আপনার ভিডিওগুলো এসইও।

ইউটিউব এসইও মূলত এমন একটি পদ্ধতি যেটা করার মাধ্যমে আপনি আপনার চ্যানেলের ইউটিউব ভিডিও গুলোকে ইউটিউবে সবার আগে দেখাতে পারবেন।

অর্থাৎ আপনার ভিডিও রিলেটেড কিওয়ার্ড লিখে যদি কেউ ইউটিউবে সার্চ দিয়ে থাকে তাহলে আপনার ভিডিওটি প্রথম অবস্থানে দেখাবে।

সেখান থেকে অনেকে চ্যানেলের ভিডিও দেখার জন্য সরাসরি চ্যানেলে আসবে এবং পণ্য সম্পর্কে তারা ভিডিও দেখার মাধ্যমে বিস্তারিত ধারণা হবে।

অবশ্যই ইউটিউব মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে এই ইউটিউব ভিডিও গুলো এসইও করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পার্ট।

ভিডিওগুলো প্রমোট করতে হবে

যদি সঠিকভাবে চ্যানেলের ইউটিউব ভিডিও  এসইও করতে পারেন তাহলে অবশ্যই সার্চ ইঞ্জিন থেকে প্রচুর পরিমাণে ট্রাফিক আসার সম্ভাবনা থাকবে।

তাছাড়া আপনি চাইলে সার্চ ইঞ্জিন ছাড়াও আপনার চ্যানেলে আপলোড করা ভিডিও গুলো অন্যান্য বিভিন্ন জায়গায় প্রমোট করতে পারেন।

যেমন ধরুন বর্তমানে অনেক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেগুলো অনেক বেশি জনপ্রিয় এবং এখানে লক্ষ লক্ষ ইউজার রয়েছে।

আপনি চাইলে আপনার ইউটিউব ভিডিও গুলো ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এবং অন্যান্য যেসব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম রয়েছে সেগুলোতে শেয়ার করতে পারেন।

আপনি এখান থেকে অনেক বেশি ভিজিটর পেয়ে যাবেন এবং যখনই আপনি আপনার চ্যানেলে ভিজিটর পাবেন তখনই মনে করবেন যে আপনার প্রোডাক্টি বিক্রির সম্ভাবনা আরও বেড়ে যাচ্ছে।

তাই আপনার যখন ভিডিও তৈরি করা হয়ে যাবে সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্মগুলোতে বেশি বেশি করে আপনার চ্যানেলের ভিডিও গুলো শেয়ার করতে হবে তাহলে আপনার ব্যবসার জন্য আরও অনেক কাস্টমার আপনি সেখান থেকে পেয়ে যাবেন।

ইউটিউব মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে এই বিষয়টাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আপনাকে এই দিকেও নজর দিতে হবে যদি আপনি মার্কেটিং করে সফল হতে চান।

ইউটিউব অ্যাড এর ব্যবহার 

আপনি চাইলে অনেক কম সময়ের মধ্যে আপনার প্রতিষ্ঠান পণ্যের মার্কেটিং করার জন্য ইউটিউব এর ব্যবহার করতে পারেন।

আপনারা ইউটিউব অ্যাড এর ব্যবহার করার ফলে অনেক বেশি কাস্টমারকে আপনাদের ভিডিও গুলো সম্পর্কে ধারণা দিতে পারবেন এবং দেখাতে পারবেন।

আপনাকে কিছু টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে আপনার ভিডিও গুলোতে ইউটিউব অ্যাডভার্টাইজমেন্ট চালু করে বা এদের ব্যবহার করে আপনার টার্গেটেড অডিয়েন্সেস সেও আরো বেশী অডিয়েন্সকে আপনি আপনার ভিডিও গুলো দেখাতে পারবেন।

আপনি এই ক্ষেত্রে অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে আপনার প্রোডাক্ট আরো বেশি মানুষের কাছে শেয়ার করতে পারছেন এবং আপনার ভিউয়ার সংখ্যাও এই ক্ষেত্রে অনেক বেড়ে যাচ্ছে।

আর এদের মধ্যে থেকে যদি কিছু লোক আপনার প্রোডাক্ট কিনে নাই তাহলে বুঝতেই পারছেন যে আপনার বিনিয়োগের টাকা উঠে অনেক পরিমাণে লাভ হয়ে যাবে। তাই আপনি চাইলে ইউটিউবে অ্যাড এর ব্যবহার করেও ইউটিউব মার্কেটিং তা করতে পারেন।

ইউটিউব মার্কেটিং করার সুবিধা (The benefits of YouTube marketing?)

যারা সাধারণত মার্কেটিং সম্পর্কে মোটামুটি জানেন তারা অবশ্যই এই বিষয়টাও জানেন যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেকগুলো ভাগ রয়েছে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর যত ভাগ রয়েছে তার মধ্যে ইউটিউব মার্কেটিং সবচেয়ে জনপ্রিয় বর্তমানে। যারা এখন অনলাইনের মাধ্যমে মার্কেটিং করতে চাচ্ছেন তাদের ব্যবসার জন্য তারা অনেকেই ইউটিউবকে প্রাধান্য দিচ্ছে।

আর বর্তমানে ইউটিউব মার্কেটিং কে প্রাধান্য দেয়ার অনেক কারণ রয়েছে যেমন ধরুন এখন মানুষ প্রতিদিনই কিছু না কিছু টাইম ইউটিউবে কাটিয়ে থাকে।

এক কথায় ইউটিউব হচ্ছে বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকের পরে। এবার আমি আপনাদেরকে বলবো ইউটিউব মার্কেটিং করার কয়েকটি সুবিধা সম্পর্কেঃ

১. আপনি যদি এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে সরাসরি খুব কম বিনিয়োগের মাধ্যমেই আপনার প্রোডাক্ট ইউটিউবের মাধ্যমে মার্কেটিং করতে পারবেন।

২. আপনি ভিডিও কনটেন্ট এর মাধ্যমে আপনার টার্গেটেড কাস্টমারদেরকে ভালভাবে বোঝাতে পারবেন।

৩.আপনি ইউটিউবে এড এর ব্যবহার করে অনেক বেশি কাস্টমারের কাছে আপনার প্রোডাক্টের বিবরণ তুলে ধরতে পারবেন। এতে অনেক বেশি পরিমাণে প্রোডাক্ট আপনি বিক্রি করতে পারেন।

৪. আপনি চাইলে কাস্টমারদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন এবং প্রোডাক্টের বিষয়ে সরাসরি বলতে পারবেন।

৫.আপনি যদি এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে বিনা খরচে আপনি ইউটিউব এর মাধ্যমে মার্কেটিং করতে পারবেন এবং এখান থেকেই আপনি অনেক প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারবেন খুব সহজে।

তাছাড়া বর্তমানে ইউটিউব মার্কেটিং এর আরো অনেক ধরনের সুবিধা রয়েছে যার ফলে মানুষ এর দিকে বেশি ঝুঁকছে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ইউটিউব মার্কেটিং হচ্ছে খুবই কার্যকরী একটি মার্কেটিং সিস্টেম। যার ফলশ্রুতিতে অনলাইনে ব্যবসায়ীদের কাছে ইউটিউব এখন হয়ে গেছে মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও কার্যকর একটি উপায়।

ইউটিউব মার্কেটিং করার  লাভ (The Benefits of Marketing YouTube?)

বর্তমান সময়ে ইউটিউবের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। মানুষ এখন প্রায় সব কাজেই ইউটিউব সার্চ দিয়ে ভিডিও দেখে থাকে।

বাজারে নতুন পণ্য আসলে সে পণ্যের বিস্তারিত জানতে মানুষ ইউটিউবে সার্চ করে পণ্যের ভিডিও দেখে।

তারপর পণ্যের বিস্তারিত তথ্য দেখে পণ্যটি কিনবে।

তাহলে অবশ্যই বুঝতে পারছেন যে মানুষ ইউটিউবে ভিডিও তে কি পরিমান নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছে যত দিন যাচ্ছে তত।

এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে ইউটিউবে মার্কেটিং করার সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে।

কেননা বর্তমানে যেভাবে ইউটিউবে জয়জয়কার চলছে তা মার্কেটিং সিস্টেম থেকে শুরু করে সব ধরনের কাজই ইউটিউব এর মাধ্যমে হচ্ছে।

আপনার যদি কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকে তাহলে ব্যবসা প্রসারের জন্যে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে বেশি মানুষকে জানাতে ইউটিউবকে ব্যবহার করতে পারেন।

ইউটিউব মার্কেটিং যদি সঠিকভাবে করতে পারেন তাহলে অবশ্যই এর মাধ্যমে খুব দ্রুতই ভালো আয় করা সম্ভব।

অবশ্যই সঠিক মার্কেটিং পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।

যারা ইউটিউব এর মাধ্যমে মার্কেটিং করতে চাচ্ছেন তারা নিঃসন্দেহে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং অনলাইন সেক্টরে ভালো লাভ করতে পারবেন।

ইউটিউব মার্কেটিং করার আগে কিছু টিপস

ইউটিউব মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় গুরুত্ব দিতে হবে। যেমন:

১. ভিডিওটি অবশ্যই খুব সুন্দর এবং কোয়ালিটিফুল হতে হবে।

২. ইউটিউব চ্যানেলে আপলোডকৃত ভিডিও 100% এসইও করে আপলোড করতে হবে।

৩.কাস্টমারদের বিভিন্ন সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে আপনার জানতে হবে এবং তাদের সমস্যাগুলো সমাধান করে দিতে হবে।

৪. প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে ভিডিওতে স্পষ্টভাবে বর্ণনা করতে হবে।

শেষ কথা,

বর্তমান সময়ে মার্কেটিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ইউটিউব। আর এই মাধ্যমটি ব্যবহার করে অনেকে লাভবান হচ্ছেন।

আশাকরি ইউটিউব মার্কেটিং সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা দেয়া হয়েছে। তারপরও বুঝতে অসুবিধা হলে কমেন্ট করার জন্য অনুরোধ করা হলো।