একটি ওয়েবসাইট শুরু করার জন্য প্রথম যে উপকরণ লাগে, সেগুলোই হচ্ছে ডোমেইন, হোস্টিং ইত্যাদি। একটি গাছ রোপণ করার জন্য মাটি যেমন গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক একইভাবে একটি ওয়েবসাইট এর ভালো পারফর্মেন্স পাওয়ার জন্য প্রয়োজন সেরা ওয়েব হোস্টিং।
ওয়েব হোস্টিং এর প্রকারভেদ
ওয়েব হোস্টিং এর অনেক প্রকারভেদ রয়েছে। যেমন, শেয়ারড হোস্টিং, ডেডিকেটেড হোস্টিং, VPS হোস্টিং ইত্যাদি। এখানেও আমরা কনফিউশনে পড়ে যাই যে কোন ধরনের হোস্টিং আমার ওয়েবসাইটের জন্য সেরা ওয়েব হোস্টিং হবে?
প্রথমত, আমরা যখন একটি স্টার্টআপ কোম্পানির ওয়েবসাইট কিংবা অনলাইন পত্রিকা বা ই-কমার্স ওয়েবসাইট শুরু করি, আমরা সাধারণত সীমিত বাজেট নিয়ে শুরু করি। পরবর্তীতে আমাদের ওয়েবসাইটটি জনপ্রিয়তা পেলে তখন আমরা নতুনভাবে ওয়েবসাইটে বিনিয়োগ করি। তাই, সীমিত বাজেটে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা শুরু করতে শেয়ারড হোস্টিং (Shared hosting) এর কোন তুলনা নেই। শেয়ারড হোস্টিং এ একটি সার্ভার এর স্পেস অনেকগুলো ভাগ করে ১ জিবি / ২ জিবি এভাবে এক একটি ভাগ এক একজনের কাছে সেল করা হয়।
Shared hosting এর সুবিধা
- তুলনামুলক কম দামে পাওয়া যায়
- ব্যাবহার করা সহজ
- মেইনটেনেন্স করতে খুব বেশী টেকনিক্যাল জ্ঞানের প্রয়োজন নেই
Shared hosting এর অসুবিধা
- একজনের ওয়েবসাইটে সার্ভার লোড বেশী হলে অন্যজনের ভোগান্তি হতে পারে
- অন্য ব্যায়বহুল হোস্টিং এর তুলনায় পারফরমেন্স কম
- সিকিউরিটি অনেক ক্ষেত্রে দুর্বল হয়
সেরা ওয়েব হোস্টিং এর দাম
মার্কেটে বিভিন্ন দামের ওয়েব হোস্টিং পাওয়া যায়। ১ জিবি ওয়েব হোস্টিং এর দাম ৩০০ টাকাও হতে পারে, আবার ৩০০০ টাকাও হতে পারে। এই দামের পার্থক্য এত টা কেন? সবাই কি একই মানের সেবা দিয়ে কেউ কম আবার কেউ বেশী নিচ্ছে? সাধারণের জন্য এই বিষয়গুলো বোঝা কঠিন হয়ে যায়।
হোস্টিং এর দাম কি কি বিষয়ের উপর নির্ভর করে
- সার্ভার কনফিগারেশন
- সার্ভার লোকেশন
- কাস্টমার সার্ভিস
- আপটাইম
- প্যানেল ফিচারস
- লিমিট
- সিকিউরিটি ইত্যাদি
অনেক পুরাতন মেশিনের সার্ভার কনফিগারেশন নিয়ে অনেকে হোস্টিং দিয়ে থাকে, যেগুলোতে ওয়েবসাইট হোস্ট করলে পারফর্মেন্স খারাপ হবে। আবার সার্ভারের লোকেশন কি রাশিয়া, আমেরিকা নাকি বাংলাদেশ তার উপরও নির্ভর করে। কাস্টমার সার্ভিস কেউ খুব দ্রুত দিয়ে থাকে, কেউ অনেক স্লো দিয়ে থাকে। অনেক কোম্পানিই লিখে রাখে ৯৯.৯৯% আপটাইম গ্যারান্টি, কিন্তু বাস্তবে পাওয়া যায় শুধুমাত্র ৯৯%। আর এই ১% এর ব্যাবধানেই ভালো হোস্টিং আর খারাপ হোস্টিং এর পার্থক্য তৈরি করে দেয়।
হোস্টিং প্যানেলে কি পরিমান ফিচার আছে, তাও কিছুটা নির্ভর করে। প্রতিটা হোস্টিং এ লিমিট থাকে, যেমন, Number of process, CPU Usage, Addon domains, Bandwidth, Number of Database, Number of Email accounts এই সমস্ত লিমিট কম বা বেশী দেয়ার উপরও প্রাইস কিছুটা নির্ভর করে। এছাড়া শেয়ারড হোস্টিং এর অসুবিধাতে উপরে আমরা বলেছিলাম যে, সিকিউরিটি একটা বড় ইস্যু। যেহেতু একই সার্ভারে অনেক ওয়েবসাইট হোস্ট করা থাকে, তাই এর যে কোন একটি সাইট হ্যাক হলে কিংবা ম্যালওয়ার এটাক হলে অন্য সাইটগুলোও ঝুকির মধ্যে থাকে।
তাই যারা সিকিউরিটিতে টাকা খরচ করে যেমন, DDoS Protection, Auto Scanner, Auto IP Blocker ইত্যাদির মাধ্যমে, স্বাভাবিকভাবেই তাদের হোস্টিং এর প্রাইস একটু বেশী হয়। এছাড়াও অটো ব্যাকাপ সহ আরো অনেক ফিচার রয়েছে যেগুলো ভালো মানের কোম্পানি থেকে হোস্টিং কিনলে পাওয়া যায়, যা আপনাকে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা থেকে রক্ষা করতে পারে।
দামে নয়, মানে সেরা ওয়েব হোস্টিং
এই বিষয়ে আরেকটু বলা যায় যে, জিনিস যেটা ভালো দাম তার একটু বেশী। পুরো ১ বছর যে হোস্টিং আমি ব্যাবহার করবো তা অবশ্যই ভালো মানের হওয়া উচিৎ। আমি যদি ১০ টাকার একটি প্যাকেট চিপ্স ৯ টাকায় পাই, তাহলে কিনব, কারণ সেখানে আমার ঠকার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু ১০ টাকার এক ঠোঙ্গা ঝালমুড়ি আমি কখনোই ৯ টাকায় কিনবো না, কারণ সে অবশ্যই আমাকে পেয়াজ, মরিচ কিছু একটা কম দেবেই। পারলে আমি আরো ২ টাকা বাড়িয়ে দিয়ে বলবো, মামা ভালো করে বানিয়ে দেন।
ব্যাপারটা এমন না যে, টাকা বেশি হলেই মান ভালো হবে। ব্যাপারটা হচ্ছে এরকম যে অবিশ্বাস্য সস্তা মূল্যে আমরা যেন ডিসকাউণ্ট অফারে ডোমেইন হোস্টিং না কিনি।
BDIX হোস্টিংঃ বর্তমানে বাংলাদেশে সার্ভিস দেয়া ওয়েবসাইট গুলোর জন্য সেরা পছন্দ এই বিডিআইএক্স হোস্টিং। দেশেই এর সার্ভার অবস্থিত হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে এর ব্রাউজিং স্পিড অসম্ভব ফাস্ট।
যে কোন ধরণের সেরা ওয়েব হোস্টিং কিনতে যোগাযোগ করতে পারেন, আমাদের সাথে। আশা করছি সেরা মানের সার্ভিস দিতে পারবো ইনশাআল্লাহ।