• ওয়ার্ডপ্রেস ডিজিটালাইজেশন

    word press হলো এমন একটি সফটওয়্যার যা আমাদের আজকের অনলাইনভিত্তিক ডিজিটাল যুগের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।মূলত ব্লগ পাবলিশিং টুলস হিসেবে এর যাত্রা শুরু হয়েছিলো।কিন্তু বর্তমানে এটি ওয়েবসাইট তৈরির গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে।

  • ওয়ার্ডপ্রেস কি?

    এটি হলো ওয়েবসাইট তৈরির একটি ফ্রি সফটওয়্যার।যেটি দিয়ে আমরা বিনামূল্যে আমাদের Website তৈরি করতে পারি।প্রায় সকল ধরণের ওয়েবসাইট এই প্লাটফর্মে তৈরি করা যায়।সহজ করে বললে Word press হলো (CMS) Content Management System যা দ্বারা যেকোনো ধরণের ওয়েবসাইট বা ব্লগ খুব সহজে তৈরি করা যায়।

  • আমরা আমাদের আলোচনায় যে বিষয়গুলো তুলে ধরবো:-
  1. কেন শিখবেন?
  2. জনপ্রিয়তা
  3. কাজের ধরণ
  4. বিশ্বব্যাপি ব্যবহার
  5. থিম ও ফিচার
  6. আর্থিক উপকারিতা
  • কেন শিখবেন
    আপনি যদি একজন ব্যবসায়ি হন,বা ব্যবসা শুরু করার জন্য মন স্থিও করেন তাহলে বর্তমানে অনলাইনের যুগে বিশ্ব বাজারে টিকে থাকতে হলে আপনার অবশ্যই একটি ওয়েবসাইট লাগবে।যেটি আপনি নিজের মতো করে এ সফটওয়্যার দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন।এছাড়াও এটি দিয়ে আয় করা সম্ভব।
  • এর জনপ্রিয়তা
    এর জনপ্রিয়তার অনেক কারণের মধ্যে মূল কথা যদি বলতে যাই যেকোনো ধরণের ব্লগ তৈরির কথা ভাবতে গেলেই আমাদের সবার আগে যে কথাটা মাথায় আসে সেটি হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস।আর এটি খুব সহজ ও বিনামূল্যে হওয়ায় বেসিক থেকে এডভান্স লেভেলের ওয়েবসাইটও এটি দিয়ে সহজে করা যায়।
  • কাজের ধরণ
    এটি এমন একটি সফটওয়্যার যেটা কোনো প্রকার কোডিং ছাড়াই ওয়েবসাইট তৈরি করে।এ সফটওয়্যারটি PHP ও MYSQL দ্বারা তৈরি।
  • বিশ্বব্যাপি ব্যবহার
    ২০০৩ সালে মূলত ব্লগিং সফটওয়্যার হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও পরবর্তীতে ডেভেলপাররা এর অনেক পরিবর্তন নিয়ে আসেন,যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে এটি ওয়েবসাইট তৈরিতেই বহুল ব্যবহৃত।বর্তমানে ওয়েবসাইটগুলোর ৩৪%ই ওয়ার্ডপ্রেস দ্বরা তৈরি।
  • থিম ফিচার
    ২০০০ টিরও বেশি ফ্রি থিম ব্যবহার ছাড়াও অনেক প্রিমিয়াম থিম কিনে ব্যবহার করা যায়।বিভিন্ন ধরণের ফিচার যুক্ত করার জন্য রয়েছে হাজার হাজার ফ্রি ও প্রিমিয়াম প্লাগিন।তাই কোনো প্রকার কোডিং জামেলা ছাড়াই আপনি পছন্দমতো সাজিয়ে নিতে পারেন আপনার ওয়েবসাইট।
  • আর্থিক উপকারিতা
    এতক্ষণে নিশ্চই আমরা এর উপকারিতা সম্পর্কে বুঝতে পেরেছি।আমরা আমাদের বিজনেস Website তৈরি করে ব্যবসায় লাভবান হতে পারি, তাছাড়াও ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে দেশে এবং দেশের বাইরে আন্যদের ওয়েবসাইট তৈরি করেও আমরা বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারি।