৪র্থ শিল্প বিপ্লব হলো আধুনিক র্স্মাট প্রযুক্তি ব্যবহারে প্রচলিত উৎপাদন এবং শিল্প ব্যবস্থার স্বয়ংক্রিয়করণের একটি চলমান প্রক্রিয়া।

বিস্তারিত আলোচনা:

বর্তমান বিশ্বর বহুল আলোচিত বিষয়ের মধ্যে অন্যতম আলোচিত বিষয় হলো ৪র্থ শিল্প বিপ্লব। আজকের যুগের ডিজিটাল বিপ্লব, যাকে শিল্প বিপ্লব হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব শব্দটি উৎপত্তি ২০১১ সালে, জার্মান সরকারের একটি হাই টেক প্রকল্প স্থাপন করেন। একে সর্বপ্রথম বৃহৎ আকারে নিয়ে আসেন ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা। ইন্টারনেটের আর্বিভাবে তৃতীয় শিল্প বিপ্লবের পর তথ্য প্রযুক্তির বাধাহীন ব্যবহার এবং দ্রুত তথ্য স্থানান্তরের মাধ্যমে গোটা বিশ্বের জীবন প্রবাহের গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ডিজিটাল বিপ্লবের ছোয়ায় উৎপাদন ব্যবস্থার ঘটবে অকল্পনীয় পরিবর্তন। [সূত্র]

শিল্প বিপ্লব ও বাংলাদেশ:

  • দেশের তরুণের সংখ্যা ৪ কোটি ৭৬ লাখ যা মোট জন সংখ্যার ২৮%। বাংলাদেশের জন্য ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল তরুণ জনগোষ্ঠী থাকবে। ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে বিপুল পরিমাণ চাকরি প্রার্থী হারালেও এর বিপরীতে সৃষ্টি হবে নানাবিধ কর্মসংস্থান। এ বিপ্লব অর্জনে ক্লাইড কম্পিউটিং, IoT এবং AI । বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই তথ্যপ্রযু্ক্তিতে অনেক ভালো করছে। বর্তমানে বাংলাদেশ দুটি সাবমেরিন কেবলের সঙ্গে সংযুক্ত, তৃতীয় সাবমেরিনের কাজ।
  • এছাড়া বাংলাদেশ সরকার প্রযুক্তিকে সামনে দিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য গাজীপুরে ডাটা সেন্টার স্থাপন করেছেন। সরকার প্রতিটি হাই স্কুলে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করেছেন। যাতে করে ছাত্র-ছাত্রীরা প্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকে । বর্তমান সরকারের উদ্যোগে ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পাশাপাশি হাইটেক পার্ক  নির্মাণের মাধ্যমে চতুর্থ বিপ্লব এর মাধ্যমে  এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের বহু দেশের চেয়ে বাংলাদেশর অর্থনীতি এখন শক্তিশালী। শেখ হাসিনা সরকারের নেতৃত্বে এরই মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্জন করেছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্ন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি হয়েছে শিক্ষার ক্ষেত্রে।
  • বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে প্রযুক্তিগত শিক্ষার দক্ষ করে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে বেশকিছু প্রকল্প হাতে নেয় সরকার।  উদহারণ হিসেবে “লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট” প্রকল্প। লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং নামক এ প্রজেক্টের আওতায় ৫০ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারছে তরুণ প্রজন্ম। নারীরাও এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।
  • জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা দেশের প্রধানমন্ত্রী ধারাবাহিক ভাবে কাজ করলে আগামী প্রযুক্তি বিপ্লবে নেতৃত্বের আসেনেই থাকবে বাংলাদেশ।
  • ১৩ বছরে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের ফলে সারা দেশে প্রায় প্রতিটি খাতের মানুষের জীবনে আইসিটি খাত প্রভাব ফেলেছে। ইউডিসি এখন ফাইভার অপটিক্যাল তারের মাধ্যমে সংযুক্ত করা হয়েছে। [সূত্র]