খাদ্যে ভেজাল ইদানিংকালে মহামারির আকার ধারন করেছে। অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় কিছু সুবিধাবাদী মানুষ ফল-মূল থেকে শুরু করে মানুষের জীবন রক্ষাকারী পন্য ভেজাল মিশ্রণ ঘটায়। কেমিকাল এক প্রকার বিষ। যার ফলে মানুষের বিশেষকরে ছোট বাচ্ছাদের চরম ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। অধিকাংশ বাচ্ছা বিভিন্ন প্রকার রোগ ব্যধিতে ভুগতে থাকে । আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য হুমকিস্বরূপ।

খাদ্যে ভেজাল রোধে সততা:

ভেজাল ও রাসায়নিকে সয়লাব ফসলের মাঠ, বাজার, হোটেল-রেস্তোরাঁ ও ওষুধের কারখানা। ভেজালবিরোধী অভিযানেও ‘ভেজাল’ থাকে। ভেজাল রোধে দরকার ভোক্তা অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা,  প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন বন্ধ করা, সামাজিক প্রতিরোধ, নৈতিক শিক্ষা । উৎপাদন থেকে বিপণন পর্যন্ত সব ধাপে নজরদারি, ভেজালবিরোধী আইনের সঠিক ও কঠোর প্রয়োগ। ভেজালকারীদের কঠিন শাস্তি দিতে হবে।

বিএসটিআই এর ভূমিকা:

কর্তৃক খাদ্যের গুনগত মানোন্নয়ন পরীক্ষায় সনদ পাওয়ার পরও অনেক কোম্পানীর পন্যে মাত্রাতিরিক্ত কেমিকাল মেশানোর প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রায়ই আমরা বিভিন্ন পত্রিকায় ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক অভিযানে অনেক প্রতিষ্ঠানের জরিমানা দেওয়া দেখতে পাই। কিন্তু প্রায়ই দেখতে পাই, পরবর্তিতে এসব প্রতিষ্ঠান পুনরায় খাদ্যে ভেজাল মেশায়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান জোরালো করতে হবে। এ ব্যাপারে কৃষি, খাদ্য ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে। সামাজিক ও রাজনৈতিক দায়িত্ববোধ এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে। এজন্য বিএসটিআই এর উচিত প্রতিনিয়ত অভিযান চালু রাখা।

ভেজাল প্রতিরোধে করনীয়:

  • যাতে কেমিকাল কেউ বাজারজাত না করতে পারে সেজন্য প্রতিনিয়ত বিএসটিআই কর্তৃক ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
  • এধরনের প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স প্রদান করার পূর্বে কাগজপত্র, প্রতিষ্ঠানের অবস্থান, সুযোগ-সুবিধা সব কিছু দেখেই লাইসেন্স প্রদান করতে হবে।
  • অবৈধভাবে পরিচালিত কেউ সনাক্ত হলে এ সম্পর্কিত আইন সংশোধন করে জেল-জরিমানার পরিমান কয়েক গুন বাড়াতে হবে।
  • অবৈধভাবে পরিচালিত কেউ সনাক্ত হলে সাথে সাথে লাইসেন্স বাতিল করতে হবে।
  • সরকার কর্তৃক ভেজাল বিরোধী জনসচেতনতা মূলক কমকান্ড বাড়াতে হবে । টেলিভিশন, রেডিও, প্রিন্ট মিডিয়া এ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্রচার, বিভিন্ন পথ নাটক, মঞ্চের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

সর্বোপরি মানুষের সচেতনতা ও মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত করতে হবে । খাবার সহ অন্যান্য পন্যে ভেজাল মেশানো প্রতিরোধ করা কখনই সম্ভবপর হবেনা। তাই আসুন সবাই মিলে ভেজাল প্রতিরোধ করি । আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম যাতে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিতে শান্তিতে নি:শ্বাস নিতে পারে এবং পরিচ্ছন্নভাবে বাচতে পারে।

আরো বিস্তারিত জানতে!!!

ফটো এডিটিং হোক অনলাইন আয়ের উৎস, ভবিষ্যৎ ও সম্ভাবনা